দাঁতের পোকা বের করার উপায় । দাঁতের পোকা বের করার গাছ

দাঁতের পোকা বের করার উপায় । দাঁতের পোকা বের করার গাছ



আসসালামু আলাইকুম  প্রিয় পাঠকগন আমরা জানি যে দাঁতের সমস্যা খুবই ভয়ানক একটি সমস্যা এই সমস্যাটি দাঁতের পৃষ্ঠে জমা হওয়া এসব ব্যাকটেরিয়া যখন মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন চিনির তৈরি খাবার বা চকলেট, অথবা আলুর চিপস পাই তখন একে কাজে লাগিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় এসিড তৈরি করে।আর এই এসিড দাঁতের শক্ত প্রতিরক্ষা আবরণ ক্ষয় করে ডেন্টাল ক্যারিজ বা গর্ত সৃষ্ট করে থাকে। চলুন আমরা জেনে নেই দাঁতের পোকা দূর করার উপায়, দাঁতের পোকা বের করার পদ্ধতি কেমন ,দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার নিয়ম ও দাঁতের পোকা হলে আমাদের কি কি সমস্যা হয়।

দাঁতে পোকা হওয়ার কারণ

সাধারণত আমরা জানি যে চিনি গুড়া মিষ্টি জাতীয় খাদ্য আমাদের মুখের ভিতরের এক ধরনের জীবাণুর সঙ্গে মিশে এসিড তৈরি করে। এই এসিড টি দাঁতের উপরে শক্ত আবরণ এনামেল কে ক্ষয় করে এবং গর্ত সৃষ্টি করে।আর এই রোগের নাম হল ডেন্টাল ক্যারিজ। চিনি মিশ্রিত দুধ, ক্যাডবেরি এই সমস্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দাঁতের গায়ে এনামেলের ওপর যে আবরণ সৃষ্টি হয়, তার নাম হচ্ছে পেলিক্যাল।এই পেলিক্যালকেই বলা হয় ডেন্টাল প্ল্যাক বা দন্তমল। লাখ লাখ জীবানো যুক্ত দন্তমলই শিশুদের ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁত ক্ষয় রোগের প্রধান কারন।  

দাঁতের পোকা দূর করার ঔষধ। দাঁতের পোকা দূর করার গাছ

ঔষধি গাছ হিসেবে আকুন্দে গাছের কোন জুড়ি নেই। যখন কোনমতেই আপনি দাঁতের ব্যথা কমাতে পারছেন না তখন এই আকন্দ গাছের রস তুলার সাহায্যে দাঁতের গোড়াই লাগান তাহলে এই দাতের সমস্যা থেকে আপনি নিমিষেই মুক্তি পেতে পারেন। দিন কিংবা রাত দাঁতের ব্যথাটি যে কোন সময়ই মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক এই সময়ে বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়ার জন্য  পেন কিলারের ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পেন কিলার খেলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে নিজের ইচ্ছা মত পেন কিলার খাওয়া ঠিক নয়। আকুন্দ গাছ হয়তো আপনারা সকলেই চিনে থাকবেন এই গাছটি গ্রাম অঞ্চলে প্রায় প্রত্যেকেরই বাড়িতে রয়েছে। হয়তো এই গাছের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না দাঁতে পোকা লাগা অথবা দাঁতের যন্ত্রণাই পেইন কিলার বা অন্যান্য ঔষধ না খেয়ে এ আকন্দে গাছের রস দাঁতের গোড়ায় লাগালে তাৎক্ষণিক সেই দাঁতের যন্ত্রণা অথবা দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়া


আপনারা হয়তো অনেকে জানেন না দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দোয়া রয়েছে। যে দোয়াটি  প্রতিদিন আমল করলে এই ভয়ানক সমস্যাটি থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। এই দোয়াটি নিচে দেওয়া হল, কুল হুয়াল্লাজি আংশাআকুম ওয়া ঝাআলালাকুমুস সাম্‌আ ওয়াল আব্‌ছারা ওয়াল আফয়িদাতা ক্বালিলাম্মা তাশকুরুন।’ (সুরা মুলক : আয়াত ২৩)। এই দোয়াটি প্রতিনিয়ত আমল করলেই আপনারা দাঁতের ব্যথা অথবা দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আল্লাহ তাআলা তার মুসলিম উম্মাহকে এই আয়াতের আমল করার মাধ্যমে দাঁতের  ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার তৌফিক  দান করুন। (আমিন)।

দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়


দাঁতের ব্যথা যেমন যন্ত্রণাদায়ক তেমনি দাঁতের চিকিৎসাও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। দাঁতের ব্যথা কমানোর অনেকগুলো উপায় রয়েছে তার ভিতরে কিছু উপায় নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো:-



নুন ও গোলমরিচ: নুন গোল মরিচ সমপরিমাণে মিশিয়ে এর ভিতরে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন,পেস্ট টি দাঁতের উপরে লাগিয়ে রাখুন দাঁতের ব্যথা কমে গেলেও এইভাবে তিন থেকে চার দিন লাগালে অনেক আরাম পাবেন  


লবঙ্গ: কয়েকটা লবঙ্গ থেতো করে দু-এক ফোঁটা অলিভ অয়েলর সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগাতে পারেন। এছাড়া আধা গ্লাস জেল লবঙ্গ তেল মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।

পেঁয়াজ: পেঁয়াজের অ্যান্টিসেপটিক গুণ  যে কোন ক্ষত অথবা ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। দাঁতে ব্যথা হলে এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেয়ে নেন। অথবা যদি বেশি ঝাঁঝ লাগে তাহলে দাঁতের উপরে পেঁয়াজ রাখলেও আরাম পাবেন।


নুন ও গরম জল: দাঁত,মাড়ি এবং গলার ব্যথা কমাতে খুব চমৎকার কাজ করে এই নুন ও গরম জল। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ নুন মিশিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন প্রতিদিন নিয়ম করে যদি এভাবে গরম পানি ও নুন দিয়ে মুখ ধুয়ে নেন তাহলে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন এছাড়াও যদি কোন ইনফেকশন থাকে তাহলে সেটাও সেরে যাবে। এছাড়াও অনেক উপায় রয়েছে দাঁতের ব্যথা কমানোর সংক্ষেপে সেগুলোর নাম নিচে দেওয়া হল, পেয়ারা পাতা, আইস কিউব, দুর্বার রস, পেয়ারা পাতা এবং রসুন এই সমস্ত উপায়ের মাধ্যমেও দাঁতের ব্যথা ও দাঁতের যন্ত্রণা থেকে অনায়াসে মুক্তি পাওয়া যাবে।

দাঁতের পোকা বের করার ঘরোয়া উপায়


দাঁতের পোকা বের করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের নিজের দাঁতগুলোকে সুন্দরভাবে ব্রাশ দিয়ে  মাজতে হবে। দাঁতের কোন অংশে কোন ময়লা লেগে না থাকে এটা খেয়াল রাখতে হবে । এছাড়া ক্যালসিয়া,ফসফরাস মিনারেল জাতীয় খাবার খেতে হবে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন, টমেটো, পালং শাক, ব্রকলি ও আলু দাঁত ভালো রাখতে আমাদেরকে সহায়তা করে। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না এরকম মানুষ আমাদের দেশে সংখ্যায় কম নয়। দাঁতের যত্নের অভাবে দাঁতে পোকা দেখা দেয়। যার কারণে আমাদের দাঁতের তীব্র যন্ত্রণা ও সহ্য করতে হয়। দাঁতের পোকা বের করতে হলে দাঁতের পোকা থেকে মুক্তি পেতে হলে উপরের নিয়ম মতাবেক চলতে হবে, তাহলে এই সমস্যা থেকে  চিরতরে মুক্তি পাবেন।

দাঁতের পোকা দেখতে কেমন


আমাদের দেশে দাঁতের ক্ষয় বা গর্তগুলোকে দাঁতের পোকা বলে। তবে বিজ্ঞানীরা শত চেষ্টা করেও দাঁতের পোকার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি। তাহলে এই দাঁতের পোকা আসলে কি,সাধারণত মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন চিনি, গুড়, ক্যাডবেরি, বিস্কিট অথবা অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের মুখের ভিতরে এক ধরনের জীবানুর সঙ্গে মিশে এসিড তৈরি করে।  এই এসিড টি দাঁতের উপরে শক্ত আবরণ কে ক্ষয় করতে থাকে এবং পরে এটা গর্ত সৃষ্টি হয়ে যায়। আর এ রোগের নাম হল ডেন্টাল ক্যারিজ। তাহলে বোঝা গেল যে তাদের পোকা বলতে কিছুই নেই সবকিছুই শুধুমাত্র মন গড়া।

দাঁতের ব্যথার ট্যাবলেটের নাম ও খাওয়ার নিয়ম

আসুন আমরা জেনে নেই দাঁতে ব্যথার ট্যাবলেটের নাম ও খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে:-

১.Fenamic 500=১৮ বছর বয়স হলে একটা করে ২/৩ বার খাওয়ার পরে ওষুধটি সেবন করতে পারেন তিন দিন পর্যন্ত।

২.Napa One=১৮ বছরের নিচে হলে অর্ধেক করে ও আঠারো বছরের ওপরে হলে একটি করে ২/৩বার করে ৩ দিন খেতে পারেন।

৩.Fanamis২৫০= ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সিদের জন্য দিনে ২ থেকে ৩ বার করে ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত খেতে পারেন। আর যদি এই ট্যাবলেট গুলো খেয়ে আপনার দাঁতের ব্যথা না কমে এই ট্যাবলেট গুলো তাহলে সেবন করতে পারেন, Tab Tory 60 প্রতিবার একটা করে দিনে দুইবার খেতে পারেন,Flublast Tablat এই ট্যাবলেটটিও প্রতিবার ১ টা করে দিনে ২/৩বার পর্যন্ত খেতে পারেন। এই ট্যাবলেট গুলাই দাঁতের ব্যথা নিরাময়ের ট্যাবলেট।

শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা বিস্তারিত ও মনোযোগ সহকারে পড়েছেন দাঁতের   পোকা দূর করার উপায় ও দাঁতের পোকা দূর করার ওষুধ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে বা পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ । 

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।

comment url