জারনাইড সিরাপ এর কাজ কি। জারনাইড সিরাপ কতদিন খেতে হয়

জারনাইড সিরাপ এর কাজ কি। জারনাইড সিরাপ কতদিন খেতে হয়


জারনাইড সিরাপ সেবনে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ ও  পুরুষাঙ্গে দুর্বলতা এরকম সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এটি কার্যকারি একটি সিরাপ। এছাড়া শুক্রতারল্য,অসময়ে বীর্যস্থলন, প্রসাবে জ্বালাপোড়া ও শয্যায় মূত্র ত্যাগ এ সমস্ত জটিল ও কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই সিরাপটি খুবই কার্যকরী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জারনাইড সিরাপ এর কাজ কি,জারনাইড সিরাপটি কোথায় পাওয়া যায়, কোন কোম্পানির সিরাপটি ভালো, জারনাইড সিরাপ এর মূল্য, জানরাইড সিরাপ এর কাজকি , জানরাইড সিরাপের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, জানরাইড সিরাপে কোন কোন উপাদান গুলো আছে, সিরাপটি খাওয়ার নিয়ম ও সিরাপের মূল্য কত।



জারনাইড  সিরাপ এর উপাদান গুলো কি



জারনাইডের প্রতি ৫ মিলি সিরাপে আছে, জলীয় নির্যাস আকারে (যষ্টিমধু) ৩০০ মিলিগ্রাম কাসকারা সাগ্রাডা ১০০ মিলিগ্রাম, টিংচার লুফফাহ ০. ১৫ মিলি এবং অন্যান্য উপাদানগুলো পরিমাণ মতো দেওয়া আছে।


জারনাইড  সিরাপ এর কাজ কি



জারনাইড সিরাপ হচ্ছে এক ধরনের স্বপ্নদোষ প্রশমক সিরাপ।এটি পুরুষাঙ্গের দুর্বলতা এবং অতি সংবেদনশীলতা দূর করে,যখন সুক্রথলি, প্রোস্টেট গ্রন্থ, লসিকা ঝিল্লি ও অন্ডকোষদয়ের মধ্যে রক্ত সঞ্চার ঘটে তখন প্রসাবের জ্বালা যন্ত্রণা এবং স্পর্শকাতরতা সৃষ্টি হয় যার ফলে শুক্র অনিয়মিতভাবে বের হতে থাকে। ইহার মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে ১৫ থেকে ২০ বার স্বপ্নদোষ হয়, সে সময় জারনাইড  সিরাপ সেবন করলে বিস্ময়করভাবে উপকারিতা পাওয়া যায় ,এবং জারনাইড সেবন করলে বিশেষ অঙ্গের স্পর্শকাতরতা ও জড়তা দূর করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। আসুন আমরা জারনাইড সিরাপ এর বিষয়ে অজানা তথ্যগুলো জেনে নেই।



জারনাইড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম




জারনাইড ওষুধ দিয়ে দুই ধরনের হতে পারে।যেমন: এটি সিরাপ হতে পারে আবার এটি ট্যাবলেটও হতে পারে।অপ্রাপ্তবয়স্ক ও বয়স্ক রোগিদের ক্ষেত্রে দিনে দুইবার দুই চামচ করে সিরাপটি খেতে হবে। আর যদি ট্যাবলেট হয় তাহলে  সকালে খাবার পরে ২টি ও রাত্রে খাবার পরে ২ টিখেতে হবে। আর প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের জন্য জারনাইড সিরাপ টি দৈনিক দুইবার ৩ চামচ করে সকালে ও রাতে খেতে হবে এবং ট্যাবলেট হলে একটি করে দৈনিক দুই বেলা সকাল ও রাতে খেতে হবে। এই ওষুধটি সেবন করার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উত্তম এতে রোগী কোন সাইড ইফেক্ট ও অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।




জারনাইড সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি



আমরা যদি জারনাইড সিরাপ অথবা ট্যাবলেট নির্ধারিত মাত্রায় সেবন করি তাহলে এর কোন সাইডইফেক্ট অথবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। জারনাইড সিরাপ এটি মূলত মানুষের স্বপ্নদোষের মতো ভয়াবহ সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এখনো পর্যন্ত এই ওষুধটি সেবনে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হইনি। তবুও আমরা সব সময় পরিমাপ মতো ওষুধ সেবনে সতর্ক থাকবো।




জারনাইড  সিরাপ কোথায় পাওয়া যায়



জারনাইড সিরাপ এটি হামদার্দ কোম্পানির সিরাপ এটি মূলত অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের জন্য ডাক্তাররা দিয়ে থাকে।এই সিরাপটি আমাদের আশেপাশে সমস্ত  হসপিটাল এবং ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। বর্তমান জেনারেশনের কাছে এই সিরাপটির অনেক চাহিদা। এজন্য এটি সবখানে পাওয়া যায়। এই সিরাপটি খেয়ে অনেকে উপকৃত হয়েছেন।




জারনাইড সিরাপ কতদিন খেতে হয়



জারনাইড সিরাপটি প্রতিদিন ১/২চা চামচ করে ২/৩ বার আহারের পরে সেবন করতে হবে। এই সিরাপটি এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত সেবন করতে হবে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারেন। আর আপনি যেই সমস্যার জন্য জারনাইড সিরাপ টি সেবন করবেন ওই সমস্যাটি লাঘব হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারবেন। আর এটি যদি ট্যাবলেট হয় তাহলে প্রতিদিন ২ করে ট্যাবলেট দিনে ২ বার করে ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত খেতে পারেন।



জারনাইড সিরাপ এর দাম কত



জারনাইড অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ নিরাময়ের অব্যর্থ মহা ঔষধ। এই ঔষধটির ১০০ মিলিগ্রাম সিরাপের মূল্য ৮০ টাকা। আর এর ট্যাবলেট এর দাম এক বক্সে ট্যাবলেট থাকে ৯০ পিস এক বক্সের দাম ১৮০ টাকা। আর প্রতি পিস এর দাম মাত্র ২ টাকা। 



শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা যার জারনাইড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম ও জারনাইড সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে বা পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।

comment url