টনসিল ফোলা কমানোর উপায়

টনসিল ফোলা কমানোর উপায়


টনসিল খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। টনসিল ফোলা কমানোর জন্য অনেকে অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। যখন টনসিলের ব্যথার সমস্যা হয়ে থাকে তখন টনসিলের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। নিম্নে টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া কয়েকটি উপায় উল্লেখ করা হলো:-


টনসিল ফোলা কমানোর উপায় 


ঠান্ডা লাগলে অনেক সময় টনসিলে সংক্রমণ হয়ে থাকে। তখন ঢোক গিলতে ও কথা বলতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই এই সময়টাতে টনসিল ফোলা কমাতে বা টনসিলের ব্যথা কমানোর জন্য কিছু উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন:-



লেবু ও মধু দিয়ে টনসিল ফোলা কমানোর উপায় 


লেবু ও মধু ব্যবহার করে টনসিলের ব্যথা বা টনসিল ফোলা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রথমে এক গ্লাস উষ্ণ জলে গোটা একটা পাতি লেবুর রস, এক চামচ মধু ও একটু নুন মিশিয়ে নিতে হবে। টনসিল ফুললে বা ব্যথা থাকলে দিনে মাঝেমধ্যে এই পানীয়টি ব্যবহার করা যেতে পারে তাহলে উপকার পাবেন। 



গ্রিন টি ও মধু দিয়ে টনসিল ফোলা কমানোর উপায় 


গ্রিন টি ও মধু টনসিল ফোলা কমানোর জন্য খুবই কার্যকারী উপাদান। প্রথমে আধা চামচ গ্রিন টি ও এক চামচ মধু দিয়ে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিতে হবে। দিনে তিনবার এই চা সেবন করতে হবে। গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জীবাণুর সাথে লড়তে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া মধুতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান টনসিলের সংক্রমণ কমিয়ে থাকে। 



হলুদ ও দুধ দিয়ে টনসিল ফোলা কমানোর উপায় 


এক কাপ গরম দুধের সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিতে হবে। হলুদে রয়েছে আন্টি ইনফ্লেমেটরি ও এন্টি এক্সিডেন্ট গুণসমূহ। গলা ব্যথা ও টনসিলের সমস্যা দূর করার জন্য এটি দারুন কার্যকারী। তাই যাদের টনসিল ফোলার সমস্যা রয়েছে তারা এই পানীয়টি খেলে টনসিল ফোলা দূর হয় ও টনসিলের ব্যথা অনেকটা কমে যায়। 



নুন জল দিয়ে টনসিল ফোলা কমানোর উপায় 


প্রথমে একটি পাত্রে গরম জল নিতে হবে এবং তার সাথে হালকা লবণ দিয়ে দিতে হবে। তারপরে ধীরে ধীরে টনসিলে ভাপ দিতে হবে। এইভাবে ১০ মিনিট ভাপ দিতে পারেন। তাহলে টনসিলের ব্যথা কমার পাশাপাশি টনসিল ফোলাও অনেকটা কমে যাবে। 



আদা চা দিয়ে টনসিল ফোলা কমানোর উপায় 


আদা চা টনসিলের ব্যথা কমাতে ও টনসিল ফোলা কমানোর জন্য দারুন কাজ করে থাকে। দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদার কুচি আর আন্দাজ মত চা পাতা নিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপরে দিনে অন্তত তিন থেকে চার বার এই পানিওটি পান করতে হবে। আদাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা সাধারণত সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। 




শেষ কথা, টনসিল ফোলা কমানোর উপায় ও টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে হয়তো ইতিমধ্যে ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তাই কারো টনসিল ফোলার সমস্যা থাকলে উপরে দেওয়া ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ধন্যবাদ। 


পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।

comment url