পেডিয়ামিন সিরাপ এর কাজ কি। পেডিয়ামিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

পেডিয়ামিন সিরাপ এর কাজ কি


আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদেরকে জানাবো পেডিয়ামিন সিরাপ এর ব্যাপারে। আমরা জানি যে পেডিয়ামিন সিরাপটি নাকে প্রদাহ, নাক মুখে সর্দি ঝরাও চোখ লাল হওয়া প্রভৃতিতে কার্যকরী একটি ঔষধ। আসুন আমরা জেনে নেই পেডিয়ামিন সিরাপটি কোন কাজে ব্যবহার করা হয়, পেডিয়ামিন  সিরাপ এর কাজ কি, এই সিরাপের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও মূল্য সম্পর্কে সবকিছুই নিচে জানানো হলো।

পেডিয়ামিন সিরাপ এর কাজ কি

পেডিয়ামিন সিরাপটি মূলত ঠান্ডা জনিত রোগের কারণে ব্যবহার করা হয়। নাক এবং চোখ দিয়ে ঠান্ডা ঝরে পড়া, চোখ লাল হওয়া, কোন কিছু খাওয়া বা ছোঁয়া লাগায় আর্টিকেরিয়া দেখা দিলে এই পেডিয়ামিন সিরাপটি সফলতার সঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ভ্রমণজনিত পীড়া বমি বমি ভাব এবং ঠান্ডা কাশিতেও এই পেডিয়মান সিরাপটি ব্যবহার করা যায়। পেডিয়ামিন সিরাপটি খুবই নির্ভরযোগ্য একটি ঔষধ।

উপরে লিখিত কোন ঠান্ডা জনিত রোগে যদি আমরা আক্রান্ত হই তাহলে অবশ্যই এই পেডিয়ামিন সিরাপটি আমরা ব্যবহার করতে পারবো। এছাড়া সব রকম সিরাপ এবং ট্যাবলেট সেবনের আগে আমরা অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়ে সেবন করব।

পেডিয়ামিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

পেডিয়ামিন সিরাপ বয়স ভেদে খাওয়ার অনেক নিয়ম রয়েছে। পেডিয়ামিন সিরাপটি বয়স্ক ও ১২ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের জন্য ২ থেকে ৩ চা চামচ অথবা (১২.৫-২৫) মিলিমিটার করে দিনে ৩ থেকে ৪ বার সেবন করতে হবে। অথবা  ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য ১ থেকে ২ চা চামচ করে দিনে তিনবার সেবন করতে পারবে।এবং ১ থেকে ৬ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে ১/২অথবা ১ চা চামচ করে দিনে তিন থেকে চার বার সেবন করতে পারবে। এছাড়া কোন সিরাপ অথবা ট্যাবলেট সেবন করার আগে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অথবা প্রেসক্রিপশনে লিখিত নিয়ম অনুসারে ওষুধ সেবন করা উচিত। এতে করে কোন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না।

পেডিয়ামিন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সবরকম ঔষধের কোন না কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। এছাড়া অনেক মানুষের শরীরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা নাও যেতে পারে অথবা ছোটখাটো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এই পেডিয়ামিন সিরাপটি  বেশি পরিমাণে সেবন করলে এর কয়েকটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন, কারো কারো ক্ষেত্রে হালকা মাথা ঝিমঝিম করে এবং বেশি পরিমাণের মাথা ব্যথা করতে পারে, মুখ শুকিয়ে যায়, আবার শরীরের ভিতর থেকে বমি বমি ভাব অনুভব হতে পারে ।

এই সমস্ত লক্ষণগুলো যদি কোন রোগির শরীরে দেখা যায় অথবা অনুভব হয় তাহলে আপনারা তাকে নিয়ে শীঘ্রই অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন তা না হলে সে রোগীটি বড় কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার  সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আমরা সকল সময় অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং তার নিয়মাবলী অনুসরণ করে সঠিক পরিমাণের এবং সঠিক নিয়মে ওষুধ সেবন করবো। তাহলে আমরা এই সমস্ত বড় ধরনের সমস্যা থেকে ভালো ও সুস্থ থাকতে পারবো।

পেডিয়ামিন  সিরাপটি কি এন্টিবায়োটিক

পেডিয়ামিন সিরাপ টি কোন এন্টিবায়োটিক সিরাপ না।এই সিরাপটি মূলত আমাদের ঠান্ডা-কাশি নাক-চোখ  দিয়ে পানি ঝরা, এলার্জিক কারণে চোখ লাল হওয়া এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলার্জির কারণে সমস্যা সৃষ্টি হওয়া এই সমস্ত সমস্যার সৃষ্টি হলে সেবন অথবা ব্যবহার করা যায়। তবে এটি কোন অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ না।

পেডিয়ামিন সিরাপ এর দাম কত

পেডিয়ামিন সিরাপটি শুধুমাত্র ১০০ এমএল এর বোতলে বিক্রি করা হয়। শুধু এই একই সাইজের পেডিয়ামিন সিরাপ পাওয়া যায়। এর ছোট অথবা বড় কোন সাইজ নেই। এই সিরাপটির বাজার মূল্য ১০০ এমএল মাত্র ৪৫ টাকা। আপনাদের ঠান্ডা জনিত কোন সমস্যা দেখা দিলে এই ওষুধটি আপনারা সেবন করতে পারেন। এই পেডিয়ামিন সিরাপটি ঠান্ডা জনিত রোগের একমাত্র ভরসাযোগ্য ঔষধ।

পেডিয়ামিন সিরাপটি কোথায় পাওয়া যায়

পেডিয়ামিন সিরাপটি আপনারা আপনাদের আশে পাশের ক্লিনিক হাসপাতাল এবং ফার্মেসিতে পেতে পারেন। কারণ এই সিরাপটি যে রোগ গুলোর কারণে ব্যবহৃত করা হয় সেগুলোর জন্য খুবই কার্যকরি একটি ঔষধ। আর এই পেডিয়ামিন সিরাপের অনেক চাহিদা রয়েছে এজন্য এগুলো আপনার আশেপাশের সব ক্লিনিক -হসপিটালে এবং ফার্মেসি থেকে পেয়ে যাবেন অতি সহজে ।

গর্ভবতী মায়েদের জন্য পেডিয়ামিন সিরাপ

গর্ভবতী মায়েদের জন্য পেডিয়ামিন সিরাপটি অতিরিক্তমাত্রায় সেবন করলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের কোন খাবার অথবা ঔষধ সঠিক নিয়মে এবং সঠিক মাত্রায় খাওয়াতে হবে। গর্ভবতী মায়েদের যদি নাকে প্রদাহ এবং চোখ ও নাক দিয়ে যদি পানি ঝরে অথবা এলার্জিজনিত কোন সমস্যা দেখা যায় যেমন চোখ লাল হয়ে যাওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলে যাওয়া এবং চুলকানির ভাব অনুভব হয় তাহলে এই পেডিয়ামিন সিরাপটি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ এবং প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

পেডিয়ামিন সিরাপটি কোন কোম্পানির তৈরি

আমরা জানি যে পেডিয়ামিন সিরাপটি ঠান্ডা ও এলার্জিজনিত রোগের মহাঔষধ হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা যে এই ওষুধটি কোন কোম্পানি থেকে আমরা পেয়ে থাকি চলুন আমরা জেনে নেই এই পেডিয়ামিন সিরাপটির উৎপাদনকারী কোম্পানির নামBeximco pharmaceuticals Ltd। আর এই সিরাপটি আমাদের বাংলাদেশে উৎপাদন করা হয়।

পেডিয়ামিন সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা

গাড়ি ও ভারী কোন মেশিন চালানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।পেডিয়ামিন সিরাপের প্রতি যাদের অতিমাত্রায় সংবেদনশীলতা রয়েছে তারা এই ওষুধটি ব্যবহার করবেন না এবং এটি নবজাতকের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়। কারণ এই পেডিয়ামিন সিরাপটি কোন নবজাতককে সেবন করানো হয় হলে এটি বড় কোন সমস্যা অথবা রোগ সৃষ্ট হতে পারে। উপরের এই সতর্কতা গুলো আমরা মেনে চলবো।

সবশেষে, উপরে লিখিত তথ্য গুলোর মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দিয়েছি যে পেডিয়ামিন সিরাপটি কখন কিভাবে এবং কোন কাজে ব্যবহার করা হয়। আর এ সমস্ত বিষয়ে আপনাদের জানতে এবং বুঝতে কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে সেটা জানিয়ে সঠিক সমাধানটি নিতে পারেন। ধন্যবাদ।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।

comment url