বুকের কফ বের করার সিরাপের নাম

বুকের কফ বের করার সিরাপের নাম


অনেক সময় তীব্র ঠান্ডা ও বাইরের ধুলাবালির কারণে ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি ও বুকে কফ জমতে পারে। অনেক বেশি কফ জমে থাকার কারণে শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে বাচ্চারা পর্যন্ত এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। বুকে কফ দূর করার জন্য আমরা অনেক উপায় অবলম্বন করে থাকি। কিন্তু কোনভাবেই বুকের কফ অল্প সময়ের মধ্যে দূর হয় না।আজকের পোস্টে বুকের কফ দূর করার সিরাপের নাম বা বুকের কফ করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক:-



বুকের কফ বের করার ঘরোয়া উপায় 


বুকের জমা কফ দূর করার জন্য ঘরোয়া কয়েকটি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। এই ঘরোয়া টোটকা গুলো খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে বুকে জমা কফ দূর করে দিবে।



লেবু ও মধু ব্যবহার করতে হবে 


বুকের জমা কফ দূর করার জন্য লেবু পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। কেননা মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে থাকে।তাছাড়া এটি বুক থেকে কফ দূর করার মাধ্যমে আমাদের গলা পরিষ্কার রাখতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। 


পেঁয়াজ ব্যবহার করা যেতে পারে 


বুকের কফ দূর করার জন্য পেঁয়াজ দারুন কাজ করে থাকে। সমপরিমাণ পেঁয়াজের রস, লেবুর রস মধু এবং পানি একসাথে মিশিয়ে চুলায় জাল দিতে হবে। তারপরে যখন দেখবেন কিছুটা গরম হয়ে গিয়েছে তখন নামিয়ে ফেলতে হবে। কুসুম গরম থাকা অবস্থায় পানি দিনে তিন থেকে চার বার পান করতে হবে। তাহলে বুকের জমা কফের সমস্যা থেকে অনেকটা উপকার পাবেন। 


আদা খেতে পারেন 


বুকের জমা কফ দূর করার জন্য আদা দারুন কাজ করে থাকে।প্রথমে এক টেবিল চামচ আদা কুচি একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপরে একটি ঢাকনা দিয়ে পাঁচ মিনিট ঢেকে রেখে সুন্দরভাবে জাল দিতে হবে। তারপরে পানি ফুটে উঠলে এতে সামান্য পরিমাণ মধু দিয়ে দিতে হবে। দিনে তিনবার এই পানি পান করতে হবে তাহলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। 



লবণ পানি খেতে হবে 


বুকের সর্দি ও কাশি দূর করার জন্য লবণ পানি খুবই দ্রুত কাজ করে থাকে। কেননা লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কব দূর করতে সাহায্য করে থাকে। প্রথমে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। এটি দিয়ে দিনে তিনবার কুলকুচি করলে দেখবেন বুকের কফ আস্তে আস্তে সেরে যাচ্ছে। 



বুকের কফ জমা সমস্যা থাকলে ঘরোয়া এই উপায় কয়টি অবলম্বন করে দেখতে পারেন। খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো ফলাফল পাবেন এবং বুকের কফের সমস্যা দূর করতে পারবেন। 


বুকের কফ বের করার সিরাপ 


বুকের কফ বের করার ঔষধ নাম বা বুকের কফ বের করার সিরাপ কোনটি ব্যবহার করা উচিত এই নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে।বুকের কফ দূর করার জন্য adhatoda vasica এর হারবাল কফ সিরাপটি ব্যবহার করতে পারেন।এই সিরাপটি বিভিন্ন ভেজস উদ্ভিদের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে। সর্দি কাশি ও ঠান্ডার চিকিৎসায় এই সিরাপটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। বাচ্চাদের বুকের কফ দূর করার সিরাপ যারা খুঁজে থাকেন তারা চাইলে এই সিরাপটি ব্যবহার করতে পারেন। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ১-২ চামচ করে দিনে দুইবার খাওয়াতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা দিনে দুই থেকে তিন চামচ করে দিনে তিনবার খেতে হবে। 



বুকের কফ করার ট্যাবলেট 


বুকের কফ দূর করার জন্য আ্যলকফ কফজেল ট্যাবলেটটি অনেক ডাক্তার রোগীদেরকে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ঠান্ডা জনিত সমস্যার কারণে যদি বুকে কফ জমে থাকে তখন অনেক ডাক্তার রোগীকে এই ট্যাবলেট দিয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই ট্যাবলেট খাওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 


বুকের কফ বের করার মেশিন 


বুকের কফ বের করার কোন মেশিন নেই। কাশির সাথে চাইলে বুকের কফ বের করে ফেলা যেতে পারে। তাছাড়া কিছু সিরাপ রয়েছে যে গুলো খাওয়ার ফলে বুকের কফ খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই দূর হয়ে যায়। 



শেষ কথা, আশা করি পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বুকের কফ বের করার সিরাপ বা বুকের কফ বের করার ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনার মূল্যবান প্রশ্নটির খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর প্রদান করার চেষ্টা করা হবে। ধন্যবাদ।


পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।

comment url