জেনে নিন বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপের নাম

জেনে নিন বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপের নাম


বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপঃ বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সমস্যা এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা। যখন একবার বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সমস্যা কি শুরু হয় এ যেন ছাড়ার নাম নেয় না। অনেক ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা থেকে।



তাই অবশ্যই বাচ্চাদের যদি পাতলা পায়খানা শুরু হয় সেটা প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা পাতলা পায়খানার ফলে বাচ্চাদের শরীর থেকে সমস্ত পুষ্টি উপাদান বাহির হয়ে যায়। তাই অবশ্যই যথা সময়ে সঠিক ব্যবস্থা না নিলে বাচ্চার প্রাণঘাতী পর্যন্ত হতে পারে। আজকের পোষ্টে আলোচনা করা হবে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি করবেন এবং বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ সম্পর্কে।তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাকঃ-




বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ 


শিশুদের পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার সমস্যাটার খুবই গুরুতর একটু সমস্যা। এই সমস্যাটা সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়িতে বসেই ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে শিশুদের পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়ার উপায়। আপনার শিশুর যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে কি করবেন সেই সম্পর্কের নিচে কিছু ধারনা দেওয়া হলোঃ-



খাবার স্যালাইনঃশিশুদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর বয়স অনুপাতে তাদেরকে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।যদি স্যালাইন ঘরে না থেকে থাকে তাহলে ঘরোয়া উপায়ে স্যালাইন তৈরি করে ফেলতে পারে এবং সেটি শিশুদের খাওয়াতে পারেন।শিশু যদি স্যালাইন খেয়ে বমি করতে চাই তাহলে হালকা করে খাওয়াতে পারেন।



জিংক ট্যাবলেটঃপাতলা পায়খানা প্রতিরোধ করার জন্য জিংক ট্যাবলেট খুবই কার্যকরী।এই ট্যাবলেটটি পাতলা পায়খানা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে থাকে। তাই শিশুর যদি অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাদেরকে জিংক ট্যাবলেট বা ওই ধরনের সিরাপ খাওয়াতে পারেন। 



প্যারাসিটামলঃশিশুর পেটে যদি অতিরিক্ত অস্বস্তিবোধ হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া অবশ্যই শিশুদেরকে প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে একজন ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে এবং বয়স অনুপাতে কি পরিমাণে খাওয়া উচিত সেটা তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।



বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া



যে সকল শিশুদের বয়স ১২ বছরের কোন তাদেরকে পাতলা পায়খানা বন্ধ করার জন্য সরাসরি কোন ঔষধ খাওয়ানো যাবে না।তাদেরকে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করানোর মাধ্যমে পাতলা পায়খানা বন্ধ করানোর চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া সমস্যা যদি খুবই গুরুতর হয়ে থাকে তাহলে একজন ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। না হলে শিশুর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।



তবে শিশুর যদি মারাত্মক পানিশূন্যতা হয়ে থাকে পাতলা পায়খানার মাধ্যমে তাহলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে এবং ইনজেকশনের  মাধ্যমে তার শিরায় স্যালাইন দেওয়া হতে পারে।তবে এক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এগোতে হবে। 




শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ এর নাম কি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।তার পরেও যদি কোন বিষয় নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 


পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।

comment url