চুলকানির কালো দাগ দূর করার উপায়

চুলকানির কালো দাগ দূর করার উপায়


চুলকানির সমস্যা খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। এই সমস্যাটা যাদের হয়ে থাকে শুধুমাত্র তারাই জানে এটা কতটা যন্ত্রণাদায়ক। তাছাড়া চুলকানি সেরে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে চুলকানির কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে কালো কালো দাগ। যার কারণে আমাদের অনেক খারাপ লাগে। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো চুলকানির কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাকঃ-




চুলকানির কালো দাগ কি?


যাদের চুলকানি হয়ে থাকে তারা অনেক ক্ষেত্রে এই বিষয়টা পরিলক্ষিত করে থাকেন। অর্থাৎ চুলকানি আক্রান্ত স্থানে কিছু কিছু কালো দাগের সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং অবাঞ্ছিত কালো দাগগুলো অনেক খারাপ লাগে। এই কালো দাগ গুলো সাধারণত চুলকানির কারণে সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া যেকোনো মানুষের সৌন্দর্য নষ্ট করতে এই কালো দাগ গুলোই যথেষ্ট। আর এই কালো দাগ গুলো দূর করার জন্য অনেকে নানান ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। তবে সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে চুলকানির অবাঞ্ছিত কালো দাগ দূর করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। 



চুলকানির কালো দাগ দূর করার উপায় 


যাদের চুলকানি হয়ে থাকে চুলকানি সেরে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে কালো দাগ থেকে যায়। তাই এই সকল কালো দাগ দূর করার জন্য আপনারা কার্যকারী কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন এবং এই উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই চুলকানির কালো দাগ দূর করা সম্ভব। 


১.ঘোল ব্যবহার করতে পারেন 


ঘোলের ভিতরে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড যা সাধারণত বাদামী দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাই চুলকানির কারণে যদি শরীরের কোন স্থানে বাদামী দাগ পড়ে থাকে তাহলে সেটা দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে ফেলতে হবে।



২.ডিমের কুসুম ব্যবহার করতে পারেন 


ডিমের কুসুম দাগ দূর করতে এবং ত্বক উজ্জল করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যে স্থানে ত্বক কালো হয়ে গিয়েছে সেই স্থানে ডিমের কুসুম ব্যবহার করুন এবং এটা ২০ মিনিট রেখে দিন।তারপর সুন্দরভাবে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই কালো দাগ দূর হয়ে যাচ্ছে।



৩.ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে 


ক্যাস্টর অয়েল কে অনেকে বেরির তেল নামে চিনে থাকেন। ক্যাস্টর অয়েল যেকোনো ধরনের দাগ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যে স্থানে কালো দাগ সৃষ্টি হয়েছে সেখানে ক্যাস্টর অয়েল তুলায় করে লাগিয়ে দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অবাঞ্চিত কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।


৪.চন্দন ব্যবহার করতে পারেন 


ত্বকের যত্নে চন্দন প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের বলিরেখা দূর করার জন্য চন্দন এর জুড়ি মেলা ভার। চন্দন, গ্লিসারিন এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন এবং সেই স্থানে কালো দাগ রয়েছে সেই স্থানে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই ত্বকের এই সকল কালো দাগ গুলো দূর হয়ে যাবে। 



৫.পেঁপে ব্যবহার করা যেতে পারে 


পেঁপেতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এনাইজম যা ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।তাছাড়া ত্বক উজ্জল করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যেখানে কালো দাগ রয়েছে সেখানে পেঁপে ঘষতে থাকুন এবং এইভাবে ২০ মিনিট ঘষুন।কিছুদিনের মধ্যেই ত্বকের অবাঞ্ছিত কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। 




শেষ কথা,আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা চুলকানির কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। উক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই চুলকানির কালো দাগ দূর করা সম্ভব। পোস্টটি পড়ে ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ। 



পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।

comment url